Thursday, March 13, 2025

সেই শিশুর মরদেহ মাগুরায়, বিচার দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

 

                                    বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে শিশুটির মরদেহ মাগুরায় নেওয়া হয়। ছবি: আইএসপিআর

ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সেই আট বছর বয়সী শিশুর মরদেহ মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়।

শিশুটির মরদেহ মাগুরায় পৌঁছানোর পর স্থানীয়রা সুষ্ঠু বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বলে জানান মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী।

তিনি জানান, স্থানীয়রা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন। পরিস্থিতি সামলানে পুলিশকে বেগ পোহাতে হয়েছে।

এর মধ্যেই স্থানীয় একটি মাঠে শিশুটির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ ঠেকাতে শহরজুড়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ধর্ষকদের কোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হবে না। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।'

জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লাবণী জামান বলেন, 'আমরা মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে ধর্ষকের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত জেলা মহিলা পরিষদ সর্বদা শিশুটির পরিবারের পাশে থাকবে।'

মাগুরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, 'আমরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। আমরা শিশুটির মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানাই। যদি ধর্ষকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফাঁসি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা মাগুরায় বিক্ষোভ শুরু করব।'

এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঢাকায় মারা গেছে শিশুটি।

আইএসপিআর শিশুটির চিকিৎসাব্যবস্থা বিষয়ে জানিয়েছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।



Monday, December 9, 2024

‘তথ্যপ্রযুক্তির সিলেবাস সংস্কারে রেমিট্যান্স বাড়বে ১০০ বিলিয়ন ডলার’


 



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, শুধুমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির সিলেবাস সংস্কারের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাড়ানো সম্ভব। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে আইসিটি সিলেবাস সংস্কার এবং কর্মমুখী শিক্ষার চর্চা শুরু করলে দেশ থেকে বাহিরে যাওয়া দক্ষ জনশক্তি অন্তত দ্বিগুণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে (আইএসটি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই স্ব উদ্যোগে দেশের ফ্রিল্যান্সারগণ ফ্রিল্যান্সারে দেশকে ২য় স্থানে উন্নীত করেছেন। গার্মেন্টস শিল্পের পর ২য় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে ফ্রিল্যান্সিং। সম্ভাবনাময় এ শিল্পে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সবদিক থেকে পাশে থাকবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় ২৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইসিটির সিলেবাস সংস্কারের কাজ চলমান। এ লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিদেশি টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডগুলোর সাথে ইতিমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক আলোচনা শুরু করেছে। 

বিষয়টির গুরুত্ব উল্লেখ করে ভিসি গত সপ্তাহে লন্ডনে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল বোর্ডের সাথে দ্বিপাক্ষিক একটি মিটিং করে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন ইন্সটিটিউট, ল এবং বিএড কলেজগুলোতে পড়াশোনার মান উন্নয়ন এবং মনিটরিং বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেন।

সেই শিশুর মরদেহ মাগুরায়, বিচার দাবিতে স্থানীয়দের বিক্ষোভ

                                            বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে শিশুটির মরদেহ মাগুরায় নেওয়া হয়। ছবি: আইএসপিআর ধর্ষণের শিকার হয়ে...